চূড়ান্ত তালিকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৭টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে এর প্রভাব পড়েছে কমপক্ষে ৪৬টি আসনে।
ঢাকার নির্বাচনি এলাকায় ছয়টি আসনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এগুলো হলো—ঢাকা-২, ৪, ৫, ৭, ১০ ও ১৪।
ঢাকা-২ আসনে কেরাণীগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়ন এবং সাভারের কিছু অংশ যোগ করা হয়েছে।
ঢাকা-৪, ৫, ৭, ১০ ও ১৪ আসনের সীমানায়ও নতুন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়ন সাভার আসনেই রাখা হলেও বনগাঁও ইউনিয়নকে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাটে আসন সংখ্যা ৪ থেকে কমিয়ে ৩টি করা হয়েছে।
গাজীপুরে আসন সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে ৬ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামসহ একাধিক জেলায় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দোহার ও নবাবগঞ্জ আসন পুনরুদ্ধার কমিটি নির্বাচন কমিশনে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আবেদন জমা দিলেও তা গৃহীত হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত ৩০ জুলাই খসড়া তালিকা প্রকাশের পর ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি ও প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। এরপর ২৭ আগস্ট চারদিনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ১ হাজার ৮৯৩টি দাবি-আপত্তি গ্রহণ করে ইসি।
চূড়ান্ত তালিকা অনুসারে দেশের সব নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। এটি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।